রূপচর্চায় গোলাপ জলের উপকারিতা
পোস্ট সূচীপত্রঃ রূপচর্চায় গোলাপ জলের উপকারিতা
- রূপচর্চায় গোলাপ জলের উপকারিতা
- গোলাপ জলের অপকারিতা
- কোন গোলাপ জল ভালো
- গোলাপ জল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
- উপসংহার
রূপচর্চায় গোলাপ জলের উপকারিতা
গোলাপ জলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করে এই গোলাপজল। নিয়মিত রাত্রে ত্বকে গোলাপজল লাগালে ত্বকের মরা কোষের বিনাশ ঘটায়। গোলাপ জল আমাদের ত্বকের প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে কাজ করে।
গোলাপ জলে থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট আপনার ত্বক থেকে ময়লা, জীবাণু, দূর করতে সাহায্য করে। গোলাপ জলে থাকা ভিটামিন ই চোখের নিচের ফোলা ভাব কমায় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা ফুটিয়ে তোলে। যাদের পা ফাটা সমস্যা আছে তারা রাতের বেলায় গোলাপ জলের সঙ্গে গ্লিসারিন মিশিয়ে লাগিয়ে সকালে ধুয়ে ফেললে উপকার পাবেন।
গরমের সময় অনেকেরই মুখে জ্বালাপোড়া হয়ে থাকে গোলাপজল ব্যবহারে জ্বালাপোড়ার সমস্যা কমিয়ে দেয় এবং গোলাপ জল ফ্রিজে রেখে বরফ করে যদি ত্বকে দেওয়া যায় তাহলে ত্বকের গভীর থেকে ময়লা পরিষ্কার করে ত্বককে জীবাণু মুক্ত করবে। রূপচর্চায় গোলাপ জলের উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করলাম আশা করি একটু হলেও উপকৃত হবেন।
গোলাপ জলের অপকারিতা
আমি আপনাদের সঙ্গে আজ গোলাপ জলের অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু আলোচনা করব। রূপচর্চার কাজে গোলাপ জল খুবই কার্যকারী ভূমিকা পালন করে। গোলাপ জলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের গভীর থেকে ময়লা পরিষ্কার করে ত্বককে জীবাণুমুক্ত করে তুলে।
আরো পড়ুনঃ মোটা হওয়ার ১২ উপায় - মোটা হওয়ার ঔষধ - মোটা হওয়ার ব্যায়াম
গোলাপজলে ব্যবহারের কারণে অনেকের ত্বকে এলার্জি বা রেস দেখা দিতে পারে। এছাড়া ত্বকে নানা রকম সমস্যা হতে পারে জ্বালা ভাব, চুলকানি, লালচে ভাব, এলার্জি ও ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে এগুলো এলার্জির কারণে হয়ে থাকে। উপরোক্ত আলোচনা থেকে আপনি নিশ্চয়ই গোলাপ জলের অপকারিতা ও রূপচর্চায় গোলাপ জলের উপকারিতা সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।
কোন গোলাপ জল ভালো
গোলাপজল রূপচর্চায় একটি প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে কাজ করে। গোলাপ ফুলের পাপড়ি ছাড়িয়ে পাঁচ ছয় মিনিট ভিজিয়ে রাখুন, তারপরে পাপড়িগুলো তুলে নিন, যাতে গোলাপের পাপড়িতে ময়লা থাকলে সেগুলো নিচে জমা হয়ে থাকে। কোন গোলাপ জল ভালো জানতে আর্টিকেলটি পুরোপুরি পড়ুন।
আরো পড়ুনঃ সিজারের পর মায়ের যত্ন কিভাবে নিবেন তার ১৫টি করণীয়
একটি পাত্রে গোলাপ জল গুলো নিয়ে যতখানি গোলাপজল আছে তার দ্বিগুণ পানি নিতে হবে। তারপর মিডিয়াম আচে পনেরো মিনিট জ্বাল করে ঠান্ডা করে নিয়ে ছাকনির সাহায্যে ছেঁকে নিতে হবে। গোলাপ জলের সঙ্গে চার থেকে পাঁচফোটা মতো গ্লিসারিন দিয়ে মিশিয়ে নিলেই হয়ে যাবে। গোলাপ জল কোন কেমিক্যাল ছাড়াই বাসাতে ফ্রেশ গোলাপ জল বানিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে সবচেয়ে বেশি ভালো।
গোলাপ জল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
আজি আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমি আপনাদের সঙ্গে গোলাপ জল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আদিম কাল থেকে মা বোনেরা গোলাপ জলের ব্যবহার করে আসছেন। ক্যামিকেল জাতীয় প্রসাধনী ব্যবহার না করে প্রাকৃতিকভাবে রূপচর্চা করায় সবচেয়ে ভালো। গোলাপজল দিয়ে ফর্সা হওয়ার বিভিন্ন রকম উপায় আছে। গোলাপ জল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে না - গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে
একটি পরিষ্কার পাত্রে গোলাপ জল, ভিটামিন ই ক্যাপসুল, এলোভেরা জেল, হলুদ একসঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিয়ে একটি তুলার সাহায্যে মুখে লাগিয়ে নিয়ে দুই তিন মিনিট মুখে মেসেজ করে নিন। পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন অবশ্যই এটা রাতের বেলা ব্যবহার করতে হবে। এভাবে গোলাপ জল দিয়ে মুখের রূপচর্চা করলে মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে এবং ত্বক ফ্রেশ দেখাবে।
উপসংহার
পরিশেষে এ কথা বলে শেষ করব যে আজ আমি এই আর্টিকেলে রূপচর্চায় গোলাপ জলের উপকারিতা এ বিষয় নিয়ে এবং গোলাপ জল দিয়ে রূপচর্চার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আপনাদেরকে মূল্যবান তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি আশা করি তথ্যগুলো আপনাদের উপকারে আসবে।
আর্টিকেলটি পড়ে আপনার যদি ভালো লেগে থাকে এবং আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ।24079
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url