বিকাশ - ইতিহাস ও উত্থান

বিকাশ - ইতিহাস ও উত্থান সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশের জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ - ইতিহাস ও উত্থান সম্পর্কে আমাদের কেমন কোন ধারণা নেই। বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ মোবাইলে টাকা লেনদেন করার জন্য বিকাশ ব্যবহার করে থাকে। আজকের এই আর্টিকেলে বিকাশ - ইতিহাস ও উত্থান সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

আপনি যদি বিকাশ - ইতিহাস ও উত্থান সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। তাহলে চলুন আর দেরি না করে বিকাশ - ইতিহাস ও উত্থান সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

পেজ সূচিপত্রঃ বিকাশ - ইতিহাস ও উত্থান

বিকাশ - ইতিহাস ও উত্থান

বিকাশ এই নামটি শুনে এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না বাংলাদেশ। কারণ বিকাশ হল বাংলাদেশের সব থেকে জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থা। যারা মোবাইলে টাকা আদান প্রদান করে থাকে সাধারণত তাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই বিকাশ ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু আমরা অনেকেই বিকাশ - ইতিহাস ও উত্থান সম্পর্কে তেমন কোন ধারণা রাখি না।

আরো পড়ুনঃ যে ১৫টি বাটন মোবাইল ফোনে দীর্ঘ সময় চার্জ থাকে

যেহেতু বিকাশ আমাদের কাছে খুবই জনপ্রিয় একটি মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থা তাই অবশ্যই আমাদেরকে বিকাশ - ইতিহাস ও উত্থান সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে। বিকাশ সাধারণত শুধু বাংলাদেশের উদ্যোগেই তৈরি হয়নি এটি আমেরিকার মানি ইন মোশন এলএলসি এবং ব্রাক ব্যাংক লিমিটেড এর উদ্যোগে যাদের শুরু করে।

পরবর্তীতে বিশ্ব ব্যাংক গ্রুপের সদস্য ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স কর্পোরেশন বিকাশের অংশীদার হয়। এছাড়া আরো কয়েকটি বড় বড় প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগকারী হিসেবে যুক্ত হয়। ২০১৮ সালে চীনের আলিবাবা গ্রুপের অঙ্গ সংস্থা আলিফের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিকাশের অংশীদার হয়। সাধারণত বিকাশ ব্রাক ব্যাংক লিমিটেডের অংশীদার হিসেবে কাজ করে থাকে এবং অন্যান্য ব্যাংক অর্থায়ন প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহযোগিতা করে থাকে।

২০১৭ সালের একটি ম্যাগাজিন পত্রিকার শীর্ষ ৫০ কে প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিকাশ হয়েছিল ২৩ তম স্থানে। বাংলাদেশের একটি বড় জায়গা জুড়ে বিকাশ দখল করে রেখেছে। সাধারণত বাংলাদেশের মানুষ মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে বিকাশের সাহায্য নিয়ে থাকে। বাংলাদেশের সেরা ডিজিটাল ব্যাংকিং ব্যবস্থা হল বিকাশ। এশিয়া মানি পত্রিকা বিকাশকে ২০১৮ সালের সেরা ডিজিটাল ব্যাংক ব্যবস্থা হিসেবে ঘোষণা করেছিল।

বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থায়ী হিসেবে বিকাশ কে পছন্দ করে থাকে। যদিও বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে অনেক ব্যাংকিং ব্যবস্থা রয়েছে তবে বিকাশ তার জায়গা দখল করে রেখেছে। বিকাশের মাধ্যমে আপনি দ্রুত গতিতে এবং নিরাপদে সুবিধা জনক ভাবে টাকা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পাঠাতে পারবেন।

বিকাশ এর সেবা সমূহ

বিকাশ আমাদের বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করে থাকে। বর্তমান সময়ে টাকা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পাঠানো খুব সহজ হয়ে গিয়েছে আমরা সাধারণত আগে টাকা পাঠানোর জন্য ডাক বিভাগ অথবা নিজে গিয়ে টাকা দিয়ে আসতাম কিন্তু এখন মোবাইলের মাধ্যমে দেশের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় টাকা প্রেরণ করা যায়। তাহলে চলুন বিকাশ এরে সেবা সমূহ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

অর্থ প্রেরণঃ আপনি খুব সহজে বিকাশের মাধ্যমে অর্থ প্রেরণ অর্থাৎ পাঠাতে পারবেন। সাধারণত আমরা বিভিন্ন প্রয়োজনে টাকা পাঠিয়ে থাকি এখন আপনি যদি দেশের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় টাকা পাঠাতে চান তাহলে খুব সহজেই বিকাশের মাধ্যমে পাঠাতে পারেন।

অর্থ প্রদানঃ বিকাশের মাধ্যমে আপনি অর্থ প্রদান করতে পারবেন যেকোনো সময় যে কোন স্থানে। মনে করুন আপনি একটি পণ্য কিনলেন কিন্তু আপনার কাছে নগদ টাকা নেই যদি আপনার বিকাশে টাকা থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই সেই টাকা প্রদান করতে পারবেন বিকাশের মাধ্যমে।

আরো পড়ুনঃ ময়মনসিংহ কিসের জন্য বিখ্যাত

মোবাইল রিচার্জঃ এমন সময় আমাদেরকে মোবাইল রিচার্জ করার প্রয়োজন হয় সাধারণত যে সময় দোকান খোলা থাকে না। এখন আপনি যদি মোবাইল রিচার্জ করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই দোকানে যেতে হবে কিন্তু আপনি বিকাশের মাধ্যমে খুব সহজেই বাড়িতে বসে থেকেই মোবাইল রিচার্জ করতে পারবেন।

বিল প্রদানঃ সাধারণত আমরা যারা শহরে বসবাস করি তাদের বিদ্যুৎ বিল এবং গ্যাস বিল দেওয়ার প্রয়োজন হয় এ ছাড়া আর অন্যান্য অনেক বিল রয়েছে। এখন আপনি যদি এই বিলগুলো প্রদান করতে চান তাহলে খুব সহজেই বিকাশের মাধ্যমে প্রদান করতে পারবেন।

রেমিটেন্সঃ যারা বিদেশে থাকে সাধারণত তারা তাদের পরিবারকে বিদেশ থেকে টাকা পাঠায় কিন্তু বর্তমান সময়ে টাকা পাঠানোর খুবই সহজ একটি মাধ্যম হয়েছে সেটি হল বিকাশ। আপনি বিকাশের মাধ্যমে খুব সহজেই এক দেশ থেকে অন্য দেশের টাকা পাঠাতে পারবেন।

বিকাশের জন্ম কত সালে

উপরের আলোচনা থেকে আমরা কমবেশি বিকাশ - ইতিহাস ও উত্থান সম্পর্কে একটা ধারণা পেয়েছি। এখন আপনি যদি বিকাশ সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য জানতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই বিকাশের জন্ম কত সালে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। যেহেতু আমরা কমবেশি সকলেই বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করে থাকি তাই চলুন বিকাশের জন্ম কত সালে তা জেনে নেওয়া যাক।

বিকাশ হলো বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থা। এটি হল বাংলাদেশের সবচাইতে বড় অর্থায়ন প্রতিষ্ঠান। এটি ব্যাংক হিসাববিহীন ব্যক্তিদের আর্থিক সেবা প্রদানের জন্য চালু করা হয়েছিল। তবে এখন বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠানো টাকা উত্তোলন করা রেমিটেন্স মোবাইল রিচার্জ মূলক প্রদান ও বিল দেওয়া সহজ বেশ কিছু কাজ করা যায়।

বিকাশের সাথে বাংলাদেশের কয়েকটি কোম্পানি এবং দেশের কয়েকটি কোম্পানি মিলিত রয়েছে। সাধারণত তারা একত্রিত হয়ে বিকাশ ওপেন করেছেন। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো আমেরিকার মানি ইমোশন এলএলসি এবং ব্রাক ব্যাংক লিমিটেড সাধারণত এদের উদ্যোগে প্রথম ২০১১ সালে বিকাশ আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। তাহলে আমরা বলতে পারি যে বিকাশের জন্ম সাল হলো ২০১১ সাল।

বিকাশ কোন দেশের কোম্পানি

অনেকেই প্রশ্ন করে থাকে যে বিকাশ কোন দেশের কোম্পানি। যেহেতু আমরা বিকাশ - ইতিহাস ও উত্থান সম্পর্কে আলোচনা করছি সেহেতু অবশ্যই বিকাশ কোন দেশের কোম্পানি? এ বিষয়টি সম্পর্কে আমাদেরকে একটা ধারণা নিয়ে নিতে হবে। বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেবার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম হলো বিকাশ। সাধারণত বিকাশের মাধ্যমে দেশের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সহজে টাকা পাঠানো সম্ভব।

এমনকি বিকাশের মাধ্যমে আপনি যেকোনো ধরনের কাজ খুব সহজে করতে পারবেন। এগুলোর মাধ্যমে বিল পে করা, টাকা উত্তোলন করা টাকা পাঠানো এমনকি যেকোনো ধরনের পেমেন্ট দেওয়া যায় খুব সহজেই। ২০১১ সালে বিকাশ আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। তবে বাংলাদেশের ব্র্যাক ব্যাংক এবং অন্যান্য দেশের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের সাথে একত্রিত হয়ে বিকাশের যাত্রা শুরু হয়।

বিকাশ - ইতিহাস ও উত্থানঃ শেষ কথা

প্রিয় বন্ধুগণ আজকের এই আর্টিকেলে বিকাশ - ইতিহাস ও উত্থান, বিকাশ এর সেবা সমূহ, বিকাশের জন্ম কত সালে? বিকাশ কোন দেশের কোম্পানি? এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি বিকাশের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে উক্ত বিষয়গুলো মনোযোগ সহকারে পড়ে নিতে হবে।

আরো পড়ুনঃ আক্কেল দাঁত তোলার পর ব্যথা

তখন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল নিয়মিত পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন। কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এ ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি। ২৫৪২৭

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url