মাউসের নাম কেন মাউস রাখা হয়েছিল
আপনি কি জানেন মাউসের নাম কেন মাউস রাখা হয়েছিল? না জানলে এই পোস্টটি পড়ুন।
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা জানেনা মাউসের নাম কেন মাউস রাখা হয়েছিল। আজকের
আর্টিকেলে আপনারা বিস্তারিত জানতে পারবেন মাউসের নাম কেন মাউস রাখা হয়েছিল।
কম্পিউটারে আমরা মাউস ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু মাউসের ইতিহাস সম্পর্কে আমরা জানি
না। মাউসকে কেন মাউস বলা হয় এর কারণ কি? এইসব তথ্য সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে
আমরা বিস্তারিত উপস্থাপন করব। কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করি তাহলে।
পোস্ট সূচীপত্র | মাউসের নাম কেন মাউস রাখা হয়েছিল
- মাউস কে আবিষ্কার করেন
- মাউসের নাম কেন মাউস রাখা হয়েছিল
- মাউসের বিভিন্ন অংশ
- মাউস কেনার আগে যা জানতে হবে
- শেষ কথা
মাউস কে আবিষ্কার করেন
মাউসের জনক বলা হয় ডগলাস এঞ্জেলবার্ট কে। ডগলাস এঞ্জেলবার্ট সর্বপ্রথম মাউস
আবিষ্কার করেন ১৯৬৩ সালে। তিনি মাউস একদিনে তৈরি করেননি। এর পিছনে আছে অনেক
কাহিনী এবং অনেক প্রচেষ্টা। আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা বিস্তারিতভাবে
জানতে পারবেন মাউসের নাম কেন মাউস রাখা হয়েছিল। ডগলাস অ্যাঞ্জেলবার্ট যখন মাউস
আবিষ্কার করেন তখন তিনি যুবক বয়সে ছিলেন এবং তার মধ্যে ছিল অদম্য ইচ্ছা শক্তি
এবং নতুন কিছু আবিষ্কারের আগ্রহ।
আরো পড়ুনঃ দুশ্চিন্তায় মাথাব্যথা দূর করার উপায়
মাউসের নাম কেন মাউস রাখা হয়েছিল জানতে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। ডগলাস
অ্যাঞ্জেলবার্ট যখন স্টানফোর্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে গবেষক হিসেবে কাজ করেন তখন
তিনি মাউস আবিষ্কার করেন। বর্তমান বিশ্বে মাউসের ব্যবহার ব্যাপক এবং মাউসের
মাধ্যমে কম্পিউটারে যাবতীয় কাজকর্ম সম্পাদন হয়ে থাকে।
মাউসের নাম কেন মাউস রাখা হয়েছিল
মাউস দেখতে অনেকটাই ইঁদুরের মতো হওয়ায় নাম দেওয়া হয় মাউস। ১৯৮০ সালের দিকে
অ্যাপল কম্পিউটার মেকিংটস সিরিজ উপস্থাপন করার সময় সর্বপ্রথম মাউসকে মানুষের
সামনে উপস্থাপন করে। এর আকৃতি মাউস এর মত হওয়ার কারণে নাম দেওয়া হয় মাউস।
মাউসের নাম কেন মাউস রাখা হয়েছিল এ বিষয়ে তাহলে বুঝতে পেরেছেন।
আরো পড়ুনঃ ময়মনসিংহ কিসের জন্য বিখ্যাত
মাউস এর জনক ডগলাস এঞ্জেলবার্ট সর্বপ্রথম মাউস আবিষ্কার করেন এবং বিশ্বকে তাক
লাগিয়ে দেন। বর্তমানে কম্পিউটারের প্রত্যেকটি কাজের সঙ্গে মাউস জড়িত। মাউস
মূলত একটি ইনপুট ডিভাইস। যার মাধ্যমে কম্পিউটারে ইনপুট প্রদান করা হয়।
বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন ধরনের মাউস পাওয়া যায়।
মাউসের বিভিন্ন অংশ
মাউস দেখতে ইঁদুরের মত হলেও এর কার্যকারিতা ব্যাপক। একটি মাউসের মধ্যে বেশ কিছু
অংশ থাকে একটি মাউসের মধ্যে রাইট বাটন, লেফট বাটন, স্ক্রল করার জন্য একটি চাকা।
মাউস ইনপুট ডিভাইস হিসেবে কম্পিউটারে বিভিন্ন ধরনের তথ্য প্রদান করে থাকে।
মাউসের রাইট বাটন মূলত অপশন দেখানোর কাজে ব্যবহৃত হয় এবং লেফট বাটন কাজের
অনুমতি প্রধান করে। স্ক্রল বাটন এর মাধ্যমে ওপরে নিচে স্লাইড করা যায়। এছাড়া
মাউসের ভিতরে তাকে অপটিক্যাল ডিভাইস।
মাউস কেনার আগে যা জানতে হবে
মাউস কেনার আগে অবশ্যই বিভিন্ন বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে। না হলে আপনি ভালো মানের
মাউস কিনতে পারবেন না এবং বেশিদিন সার্ভিস পাবেন না। মাউসের নাম কেন মাউস রাখা
হয়েছিল এ বিষয়ে আমরা ইতোমধ্যে আলোচনা করেছি। আশা করি আপনারা সেটা বুঝতে
পেরেছেন। বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন ধরনের মাউস পাওয়া যায। কিছু মাউস আছে ওয়্যার
যুক্ত আবার কিছু আছে ওয়ারলেস। বর্তমানে ওয়ারলেস মাউস বেশি জনপ্রিয়।
আরো পড়ুনঃ বিদ্যুৎ চমকালে করনীয়
মাউস কেনার আগে অবশ্যই টেস্টিং করে নিতে হবে এবং সব সময় ভালো কোম্পানির মাউস
কিনতে হব। তাহলে আপনি কম্পিউটারে কাজ করে আরাম পাবেন। বর্তমানে A4 Tech মাউস
সবচেয়ে ভালো এবং এই মাউস সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। আপনি যদি ওয়্যারলেস মাউস
কিনতে চান সেক্ষেত্রে আপনার ওয়ারলেস মাউসের রেঞ্জ দেখে কিনবেন। তাহলে আজকের
পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারলেন মাউসের নাম কেন মাউস রাখা হয়েছিল।
শেষ কথা | মাউসের নাম কেন মাউস রাখা হয়েছিল
প্রিয় পাঠক, আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন মাউসের নাম কেন মাউস রাখা হয়েছিল।
কারণ আমরা এই বিষয়টি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছি। যদি কোন ভুল হয়ে থাকে
তাহলে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে আমাদের জানাবেন। তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয়
সম্পর্কে জানতে হলে ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য
ধন্যবাদ। জব আইডি ২৫৫৯১.
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url