বাচ্চাদের দাঁত পড়ার বয়স সম্পর্কে জেনে নিন

বাচ্চাদের দাঁত পড়ার বয়স সম্পর্কে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি বাচ্চাদের দাঁত পড়ার বয়স সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে বাচ্চাদের দাঁত পড়ার বয়স সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসি।
বাচ্চাদের দাঁত পড়ার বয়স
বাচ্চাদের দাঁত পড়া সম্পর্কে জানার জন্য এই আর্টিকেলটি আপনাদের খুবই উপকারে আসবে। কারণ আজকের এই আর্টিকেলে আমি বাচ্চাদের দাঁত সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব। তাহলে চলুন আলোচনা শুরু করা যাক।

পোষ্ট সূচিপত্রঃ বাচ্চাদের দাঁত পড়ার বয়স

ভূমিকা | বাচ্চাদের দাঁত পড়ার বয়স

আজকের এই আর্টিকেলের প্রধান আলোচ্য বিষয় হচ্ছে বাচ্চাদের দাঁত পড়ার বয়স। এর পাশাপাশি বাচ্চাদের কয়টি দাঁত পড়ে এবং শিশুদের দাঁত পড়ে যায় কেন এই বিষয় সহ আরো যাবতীয় বিষয়ে একটা বিস্তারিত আলোচনা করব ইনশাল্লাহ। এই বিষয়গুলো আপনি তখনই জানবেন যখন এই আর্টিকেলটি পুরোপুরি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। আজকের এই আর্টিকেলটি আমাদের সকলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমাদের আজকের মূল আলোচনা শুরু করা যাক।

বাচ্চাদের কয়টি দাঁত পড়ে

বাচ্চাদের কয়টি দাঁত পড়ে এই নিয়ে আমাদের অনেকেরই জানার আগ্রহ থাকে। কিছু বাচ্চাদের দাঁত আগে উঠতে দেখা যায় এবং অনেক বাচ্চা রয়েছে যাদের দাঁত একটু দেরিতে উঠে। দাঁত দেরিতে ওঠার জন্য প্রধানত যে কারণগুলো দায়ী তার মধ্যে একটি হচ্ছে জেনেটিক কারণ। বংশগত কোন সমস্যার কারণে শিশুদের দাঁত দেরিতে উঠতে পারে। বাচ্চাদের মূলত ২০ টি দাঁত পড়ে থাকে। প্রাথমিক অবস্থায় একটি শিশুর একটি দুটি করে মোট বিশটি দাঁত উঠে থাকে। ছোট বাচ্চাদের এই দাঁত গুলোকে মূলত দুধ দাঁত বলা হয়ে থাকে।
বাচ্চাদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে দুধ দাঁতগুলো উঠে গিয়ে পরবর্তীতে আরো নতুন করে দাঁত গজায়। ছোট বাচ্চাদের সাধারণত জন্মের প্রায় ছয় মাস পর থেকে দাঁত উঠা শুরু করে। এই দাঁতগুলো মূলত চার ভাগে বিভক্ত। একটি হচ্ছে ইনসিসর, ক্যানাইন, মোলার এবং প্রিমলার। প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের এই চার ধরনের দাঁত দেখা যায়। তবে যারা একদম বাচ্চা তাদের ক্ষেত্রে মোলার দাঁতটি থাকে না। এটি একদম প্রাপ্তবয়স্ক বয়সে উঠে থাকে। আশা করছি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি বাচ্চাদের কয়টি দাঁত পড়ে এই সম্পর্কে একটু হলেও ধারণা পেয়েছেন।

শিশুদের দাঁত পড়ে যায় কেন

শিশুদের দাঁত পড়ে যায় কেন এই বিষয়ে আমরা কম বেশি সকলেই জিজ্ঞাসা করি। আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন শিশুদের দাঁত পড়ে যায় কেন? শিশুদের দাঁত মূলত ক্ষণস্থায়ী একটি দাঁত। প্রাকৃতিক নিয়মেই প্রধানত শিশুদের দাঁত পড়ে যায়। মানুষের কোন হাত নেই। আবার বিভিন্ন রকম দুর্ঘটনার কারণেও কিংবা কোন উঁচু স্থান থেকে বাচ্চা পড়ে গেলে দাঁত ভেঙে যেতে পারে এতেও দাঁত পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এটি দুর্ঘটনার জন্য দাঁত পড়ে যাওয়া। আবার নির্দিষ্ট একটা বয়স হলে একে একে শিশুদের দাঁত এমনিতেই পড়ে যাই। শিশুদের যে দাঁতটি পড়ে যায় সে দাঁতটিকে বলা হয় দুধ দাঁত।
দুধ দাঁত হল ক্ষণস্থায়ী একটি দাঁত। ক্ষণস্থায়ী এই দুধ দাঁতটি পড়ে গিয়ে দীর্ঘস্থায়ী দাঁত উঠে। এই দাঁতটি অনেক শক্ত হয় এবং শক্ত জিনিসগুলো চিবিয়ে খাওয়ার জন্য উপযোগী হয়। শিশুর দাঁত পড়ে যাওয়া এটা অস্বাভাবিক কিছু বিষয় নয়। প্রত্যেকটা শিশুরই প্রাকৃতিক নিয়মেই যখন সময় হবে তখন আস্তে আস্তে দাঁত পড়ে যাবে এবং স্থায়ী দাঁতগুলো গজাতে শুরু করবে। এতে চিন্তার কোন কারণ নেই। কোন দুর্ঘটনা ছাড়া যখন শিশুর বয়স হবে তখন এমনিতেই দাঁতগুলো পড়ে স্থায়ী দাঁত উঠবে। 

বাচ্চাদের দাঁত পড়ার বয়স

বাচ্চাদের দাঁত পড়ার বয়স সম্পর্কে আমাদের অনেকের আগ্রহ রয়েছে। বাচ্চাদের দাঁত পড়ার বয়স নিয়ে আলোচনা আজকে আমাদের আর্টিকেলের প্রধান আলোচ্য বিষয়। যখন একটি বাচ্চার দাঁত উঠতে অনেক দেরি হয় তখন বাচ্চার বাবা-মা অনেক চিন্তিত থাকেন এবং বাচ্চাদের দাঁত পড়ার বয়স সম্পর্কে জানতে চান। মূলত বাচ্চাদের দাঁত পড়ার একটি নির্ধারিত বয়স রয়েছে। এই বয়সের মধ্যে একটি শিশুর দাঁত পড়তে থাকে। জন্মের ছয় মাস পর থেকে একটি বাচ্চার দাঁত উঠতে থাকে। আর শিশুদের ২০ টি দাঁত উঠে এটা আপনি ইতিমধ্যে জেনে এসেছেন। 
এই বৃষ্টির দাগ মূলত ১২ থেকে ১৩ বছরের মধ্যে সব পড়ে যায়। কেননা এই দাঁতগুলো ছিল ক্ষণস্থায়ী বা দুধ দাঁত। ১২ থেকে ১৩ বছর বয়সের মধ্যে এই দাঁতগুলো পড়ে গিয়ে স্থায়ী দাঁত গজায়। যে দাঁতগুলো অত্যন্ত শক্তিশালী এবং মজবুত হয়ে থাকে। তবে বিভিন্ন কারণে বাচ্চাদের দাঁত পড়ার বয়স এর তারতম্য হতে পারে। তবে সাধারণত এই বয়সের মধ্যেই একটি বাচ্চার দাঁত পড়ে আবার নতুন দাঁত তৈরি হয়। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি বাচ্চাদের দাঁত পড়ার বয়স সম্পর্কে আপনাদের বোঝানোর চেষ্টা করলাম। আশা করছি আর্টিকেলটি পড়ে আপনি বাচ্চাদের দাঁত পড়ার বয়স সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন।

শেষ কথা | বাচ্চাদের দাঁত পড়ার বয়স

আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাদের সাথে বাচ্চাদের দাঁত পড়ার বয়স সহ আরো নানা বিষয়ে যাবতীয় আলোচনা করেছি। আশা করছি এই আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে এসেছে। যদি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার মনে হয় যে একটি নতুন বিষয় শিখতে পেরেছেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুবান্ধব এবং প্রিয়জনদের সঙ্গে এই আর্টিকেলটি শেয়ার করবেন। এরকম নিত্য নতুন খবর সবসময় পেতে চাইলে এই ওয়েবসাইটটির সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ। @25155

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url