রাজশাহীর জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান ও বিখ্যাত কিছু খাবার

 বর্তমানে ভ্রমণ পিপাসুরের জন্য রাজশাহী শহর একটি আদর্শ জায়গা। সুন্দর মনোরম পরিবেশ নিরিবিলি শহর হিসেবে রাজশাহীর সুনাম শুরু থেকেই হয়ে আসছে। এমন কোন ব্যক্তিকে পাওয়া যাবে না যে রাজশাহী ঘুরতে এসে তার পছন্দ হয়নি। বর্তমানে কিছু কিছু পয়েন্ট আছে যেখানে মনোরম পরিবেশে সময় কাটানোর জন্য শ্রেষ্ঠ জায়গা রাজশাহীর ভিতরে। এবং রাস্তার পাশে প্রতিটি মোড়ে মোড়ে ছোট ছোট ফাস্টফুডের দোকান যেখানকার খাবার সর্বস্তরের মানুষের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় চলুন এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক। 

পোস্ট সূচীপত্রঃ

পদ্মা গার্ডেন ও লালন শাহ মুক্তমঞ্চ

রাজশাহী শহর মূলত পদ্মা নদীর পাশে অবস্থিত। আর পদ্মা নদীর পাশ দিয়ে কয়েক কিলোমিটার ঘিরে তৈরি হয়েছে বিভিন্ন ধরনের বিনোদন কেন্দ্র, যার মধ্যে পদ্মা গার্ডেন অন্যতম। পদ্মা গার্ডেন একটি উন্মুক্ত বিনোদন কেন্দ্র, যেখানে রয়েছে বেশ কিছু মনোরোম স্থান, বিভিঅৈন্ন ধরনের রেস্তোরাসহ ভিন্ন ভিন্ন সব অবকাঠামো। 

মুক্তমঞ্চ হলো পদ্মার তীর বেয়ে ঘেঁষে ওঠা আরেকটি উন্মুক্ত বিনোদোন কেন্দ্র, যা ২০১৩ সালে স্থাপিত হয়েছে। এখানে রয়েছে মুক্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সুবিধা। তাছাড়া প্রকৃতির মুক্ত হাওয়া খেতে লোকজনের সমাগম লেগেই থাকে এখানে।

 টি-বাঁধ ,আই বাঁধ ও সিএন্ডবি রাস্তা 

আপনি যদি রাজশাহীর শান্ত, সিগ্ধ কিংবা অপরুপ কোথাও যেতে চান তাহলে আপনাকে ঘুরে আসতে হবে এই দুই বাঁধে। এখানে পদ্মার শীতল হাওয়া নিমিষেই আপনাকে মুগ্ধ করে তুলবে। তার সাথে রয়েছে সর্বস্তরের নিরাপত্তা এবং সুশীল পরিবেশ যা একজন দর্শনার্থীর মন ভালো করার জন্য যথেষ্ট।

রাজশাহীর সবচেয়ে সুন্দর, শ্যামল রাস্তাগুলোর মধ্যে সিএন্ডবি অন্যতম। খুব সকালে এই রাস্তায় হাঁটলে আপনি অনুভব করতে পারবেন এক নৈসর্গিক মায়া। সন্ধ্যার জাঁকজমক সিএন্ডবিতো রয়েছেই, সেই সাথে রয়েছে এখানকার গরম গরম রসগোল্লা। 

আরো পড়ুনঃ নাটোর জেলার পরিচিতি ও এর ইতিহাস

প্যারিস রোড, আলোকসজ্জিত রোড

রাজশাহী এসে প্যারিস রোড ঘুরে যাননি এমন মানুষ খুব কমই আছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর রাস্তাগুলোর একটি এই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোড। এর চারিদিকের অপরূপ লাবণ্যতা আপনাকে এনে দিবে অন্যরকম প্রশান্তি। 

রাজশাহীর প্রতিটি রাস্তা দেখলেই আপনার মন জুড়িয়ে যাবে। আরো বেশি বিমোহিত হতে থাকবেন রাতের আলোকসজ্জিত রাস্তাগুলো দেখলে। অন্যতম হিসেবে রয়েছে তালাইমারি থেকে আলুপট্টি, তেরোখাদিয়া এছাড়াও প্লেন চত্বরের রাস্তা। রাতে এই রাস্তাগুলোতো রিকশাযোগে কিংবা হেঁটে পথ চলতে শুরু করলে আলোর ঝলকানিতে আর পথ ফুরোতে ইচ্ছে করবে না।

রাজশাহী চিড়িয়াখানা ,জিয়া শিশু পার্ক

প্রায় ৩৩ একর ভূমিতে নির্মিত শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা রাজশাহী শহরের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র এবং শিশুপার্ক হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। এটা প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। জনপ্রতি ২৫ টাকা করে টিকিট কেটে যে কেউ এখানে প্রবেশ করতে পারবেন। আর পিকনিক স্পটের জন্য আলাদাভাবে ফি জমা দিতে হয়। চিড়িয়াখানার মধ্যে রয়েছে আরেকটি নবনির্মিত নভোথিয়েটার। যা একজন দর্শনার্থীকে নতুনত্ব ভ্রমণের আনন্দ প্রদান করে।

রাজশাহীর নওদাপাড়ায় অবস্থিত শহীদ জিয়া শিশু পার্ক এই শহরের একটি জনপ্রিয় বিনোদন কেন্দ্র। যার অন্যতম সৌন্দর্য হিসেবে রয়েছে দীঘির মাঝখানে কৃত্রিম পাহাড়। প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খোলা থাকে পার্কটি, যার প্রবেশমূল্য ২৫ টাকা।

আরো পড়ুনঃ  সিলেট কি জন্য বিখ্যাত

জনপ্রিয় খাবার গুলো

ভ্রমন প্রিয় ব্যক্তিদের ভ্রমণের আনন্দ আরও বাড়াতে অবশ্যই খাবারের চাহিদা রয়েছে। সকল ধরনের সকল শ্রেণীর মানুষ এখানে ঘুরতে আসে সবাই উচ্চবিত্তশীল নয় তাই তাদের খাবারের মান ভিন্ন রকম। রাজশাহী শহরের প্রায় সব রাস্তার মোড়ে মোড়ে বাজারে , স্ট্রিট ফুড তথা রাস্তার পাশে ছোট ছোট ফাস্টফুডের দোকান রয়েছে অনেক যেখান থেকে সব ধরনের মানুষ ফাস্টফুডের খাবারের স্বাদ গ্রহণ করতে পারে অল্প খরচের মধ্যেই। তার মধ্যে রয়েছে চিকেন বার্গার, পাস্তা, নুডুলস, চিকেন ফ্রাই, চিকেন স্টিক সহ নানা রকম চাইনিজ খাবার। যা খুব অল্প খরচেই হাতের নাগালেই মানুষ কিনে খেতে পারছে। তাছাড়া এখনো রাজশাহী লক্ষ্মীপুর মোড়ে তথা মিন্টুর মোড়ে তিন টাকায় সিঙ্গারা পুরি ও পিয়াজু চপ পাওয়া যায়। যা একটি নজিরবিহীন যে এই বাজারেও এত কম দামে হাতের নাগালে খাবার পাওয়া যাচ্ছে।

শেষ কথা

যদি কখনো রাজশাহীতে আসা হয় তাহলে অবশ্যই এই জায়গাগুলোতে ঘুরে আসবেন। আপনার মনের দুশ্চিন্তা দূর হয়ে একটা রিফ্রেশমেন্ট পাবেন এটা নিশ্চয়ই। এবং রাস্তার পাশে ফাস্ট ফুড গুলো ট্রাই করার চেষ্টা করবেন।  আলোচিত আর্টিকেলের তথ্য সমূহ ভালো লাগলে ও আপনার সহযোগী তথ্য বলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিবেন এবং আপনার মতামত কমেন্টে জানাবেন কখনো রাজশাহীতে এসেছেন না আবার আসতে চান।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url