এলার্জি রোগ প্রতিরোধে ঘরোয়া উপায় সমূহ

অ্যালার্জি একটি বহুল প্রচলিত চর্মরোগ । বিভিন্ন উৎস থেকে অ্যালার্জি হতে পারে – কারো ধূলোবালি থেকে, কারো খাবার থেকে, কারো ওষুধ থেকে, কারো জন্মগত কারনে,কারো বা সেনসিটিভ স্কিনের জন্য আবার কেউ ভোগেন কোল্ড অ্যালার্জিতে । অ্যালার্জি হলে চিন্তিত হয়ে পড়ার কিছু নেই, সাধারণ অ্যালার্জি হলে ঘরোয়া ভাবেই প্রতিরোধ করা সম্ভব । জেনে নিন অ্যালার্জি প্রতিরোধে কিছু ঘরোয়া সমাধান সম্পর্কে:


যাদের ডাস্ট অ্যালার্জি হয়, তারা বাইরে বের হওয়ার সময় মাস্ক পড়তে পারেন। এতে ধুলোবালু থেকে সৃষ্ট রোগ জীবাণু সরাসরি নি:শাসের মাধ্যমে ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে না, এছাড়া  ত্বক সুস্থ ও সুরক্ষিত থাকবে ।

১ গ্লাস পানিতে অ্যাপল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে প্রতিদিন পান করুন । নিয়মিত এভাবে খেলে এটি আপনাকে অ্যালার্জির সমস্যা থেকে মুক্তি দিবে ।

অ্যালার্জির কারনে ত্বকে যে র‌্যাশ বা লালচে দাগ হয় সেই দাগ দূর করতে ঘৃতকুমারী পাতার রস গোসলের পানির সাথে মিশিয়ে ত্বকে লাগান, দাগ চলে যাবে ।

বিছানা বা বালিশ এগুলো সব সময় পরিষ্কার – পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করুন । সপ্তাহে একবার এগুলো রোদে দিন ।

আরো পড়ুনঃ স্বপ্নদোষ না হলে কি সমস্যা হয় জেনে নিন

নিম পাতা ত্বকের যে কোন সমস্যা সমাধানে অনেক কার্যকরী এবং এক ধরনের ঔষধি হিসেবে কাজ করে । অ্যালার্জী প্রতিরোধে নিম পাতা পেস্ট করে ত্বকে লাগান ।

যে কোন ওষুধ খাওয়ার আগে চিকিৎসকের কাছ থেকে পূর্বেই মেডিসিনের সাইড ইফেক্ট সম্পর্কে জেনে নিন । ভ্রমনের সময় অ্যালার্জি প্রতিরোধক মেডিসিন সবসময় সাথেই রাখুন ।

তবে, অ্যালার্জি হলে ওষুধ না খেয়ে চেষ্টা করতে হবে যেসব জিনিসে অ্যালার্জি রয়েছে সেগুলো এড়িয়ে চলা, তবে না কমলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে মেডিসিন খেতে হবে । সুস্থ ও সুন্দরভাবে কাটুক আপনার জীবন । আপনার সব ধরনের সমস্যার সহজ সমাধান দিতে ‍Sheba.xyz রয়েছে সবসময় আপনার পাশেই।

 অ্যালার্জি জন্য ঘরোয়া প্রতিকার

অ্যালার্জির জন্য প্রাকৃতিক ঘরোয়া প্রতিকার ব্যবহার করে, আপনি যে কোনও ঋতুতে একটি সুখী এবং স্বাস্থ্যকর জীবন উপভোগ করতে পারেন। অ্যালার্জির জন্য এখানে 15টি সবচেয়ে কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে:-


হলুদ: হলুদ অ্যালার্জির জন্য খুবই উপকারী একটি ঘরোয়া প্রতিকার। হলুদে উপস্থিত কারকিউমিন একটি যৌগ যা এর প্রদাহ বিরোধী প্রভাবের জন্য পরিচিত। এলার্জি প্রায়ই প্রদাহ জড়িত শ্বসনতন্ত্র, তাই হলুদ এই প্রদাহজনক প্রতিক্রিয়া কমাতে সাহায্য করতে পারে।

ভিটামিন সি: ভিটামিন সি অ্যালার্জির জন্য একটি দুর্দান্ত প্রাকৃতিক এবং ঘরে তৈরি প্রতিকার কারণ এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সমর্থন করতে সহায়তা করে। সাইট্রাস ফল (কমলা, লেবু, জাম্বুরা), স্ট্রবেরি, কিউই এবং বেল মরিচ গ্রহণ করে আপনি আপনার ভিটামিন সি বাড়াতে পারেন।

তরল খাওয়া - হাইড্রেটেড থাকুন: জল পান করা অ্যালার্জি নিরাময়ের একটি প্রাকৃতিক উপায়। এটি নাক-পরবর্তী ড্রিপ দ্বারা সৃষ্ট বিরক্তিকর গলাকে নরম করে, যা অ্যালার্জি ফেটে গেলে সাধারণ। এছাড়াও, শরীর হাইড্রেটেড রাখা শরীরের অ্যালার্জেন পরিত্রাণ পেতে সাহায্য করে।

মধু: মধু অ্যালার্জির উপসর্গ কমাতে খুবই উপকারী কারণ এতে স্থানীয় গাছপালা থেকে পরাগায়নের পরিমাণ পাওয়া যায়। নিয়মিত অল্প পরিমাণে মধু ব্যবহার করলে, আপনার শরীর নির্দিষ্ট অ্যালার্জির প্রতি কম সংবেদনশীল হয়ে উঠতে পারে। আপনি যদি অ্যালার্জি সমস্যার জন্য মধু চেষ্টা করতে চান তবে মুদি দোকান থেকে স্থানীয় মধু চেষ্টা করা ভাল। যদিও মধু অ্যালার্জির জন্য ঘরোয়া প্রতিকারের জন্য সবচেয়ে দরকারী জিনিসগুলির মধ্যে একটি, তবে মনে রাখবেন যে এই প্রতিকারটি সবার জন্য কাজ নাও করতে পারে।

বাটারবার: বাটারবারে অ্যান্টিহিস্টামিন বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা হিস্টামিনের প্রভাবকে প্রতিহত করতে পারে, অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়ার সময় প্রকাশিত একটি রাসায়নিক। বাড়িতে অ্যালার্জির চিকিত্সার জন্য বাটারবারও একটি দুর্দান্ত উপায়।

প্রোবায়োটিকস: প্রোবায়োটিকগুলি ইমিউন প্রতিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, যা অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া কমাতে উপকারী হতে পারে। এর মাধ্যমে আমরা ঘরে বসেই অ্যালার্জির চিকিৎসা করতে পারি।

স্টিম ইনহেলেশন: স্টিম ইনহেলেশন হল অ্যালার্জির জন্য একটি সহজ এবং কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকার যা অ্যালার্জির লক্ষণগুলি থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে, বিশেষ করে যখন ভিড় এবং নাক বন্ধ হয়ে যায়।

স্যালাইন নাসিকা ধুয়ে নিন: স্যালাইন নাক রিন্সগুলি নির্দেশিত হিসাবে ব্যবহার করা আরও ভাল এবং নিরাপদ, তবে সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে ব্যবহারের আগে জল পাতানো বা সিদ্ধ করা এবং ঠান্ডা করা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রক্রিয়াটি অ্যালার্জির জন্য সেরা ঘরোয়া প্রতিকারগুলির মধ্যে একটি।

Quercetin-সমৃদ্ধ খাবার: Quercetin কিছু খাবারে পাওয়া যায় যেগুলোতে অ্যালার্জি এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যের জন্য প্রাকৃতিক অ্যান্টিহিস্টামাইন রয়েছে। নিচ্ছেন কোয়ারসেটিন সমৃদ্ধ খাবার আপনার খাদ্য আপনাকে অ্যালার্জি উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে. এর মাধ্যমে আমরা ঘরে বসেই কার্যকর অ্যালার্জির চিকিৎসা পেতে পারি।



এয়ার কন্ডিশনার: এয়ার কন্ডিশনার অ্যালার্জির জন্য একটি কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকার হতে পারে, তবে নিয়মিত ফিল্টার পরিবর্তন বা পরিষ্কার করা সহ আপনার এয়ার কন্ডিশনার (এসি) সিস্টেম বজায় রাখা নিশ্চিত করুন। এসি ভিতরের বাতাসকে সঞ্চালন করে, যা অ্যালার্জেন কণা ছড়াতে সাহায্য করে এবং তাদের পৃষ্ঠে বসতি স্থাপনে বাধা দেয়।

আরো পড়ুনঃ আক্কেল দাঁত তোলার পর ব্যথা

ক্লিন লিভিং স্পেস: এটি অ্যালার্জি কমাতে সাহায্য করতে পারে এবং অ্যালার্জির লক্ষণ থেকে ত্রাণ দিতে পারে। পরিষ্কার করা জীবনের একটি মৌলিক প্রয়োজন এবং আপনার চারপাশের পরিচ্ছন্নতা ধুলোর অ্যালার্জির লক্ষণগুলি কমাতে পারে। 

ইউক্যালিপটাস তেল: ইউক্যালিপটাস তেলে একটি প্রাকৃতিক ডিকনজেস্ট্যান্ট প্রভাব রয়েছে, যা অনুনাসিক প্যাসেজ খুলতে সাহায্য করে এবং শ্বাস নেওয়া সহজ করে তোলে। সুতরাং, এটি প্রাকৃতিকভাবে অ্যালার্জি কমাতে পারে।

পেপারমিন্ট চা: আপনার যদি নিয়মিত অ্যালার্জির সমস্যা থাকে তবে আপনার কপাল এবং গালে একটি উষ্ণ পিপারমিন্ট টি ব্যাগ লাগাতে হবে। এটি সত্যিই সাইনাসের সমস্যাযুক্ত লোকদের সাইনাসের অস্বস্তি প্রশমিত করতে এবং প্রাকৃতিকভাবে অ্যালার্জি কমাতে সহায়তা করে।

ব্রোমেলাইন: ব্রোমেলাইনে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-অ্যালার্জিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা এটি অ্যালার্জির জন্য একটি দুর্দান্ত প্রাকৃতিক চিকিত্সা করে তোলে। ব্রোমেলাইন একটি এনজাইম খাদ্য যা আনারস এবং পেঁপে পাওয়া যায়।

শেষ কথা

ঘরোয়া প্রতিকারের মাধ্যমে অ্যালার্জি থেকে নিজেকে রক্ষা করা কিছু ওষুধের কারণে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই সেই বিরক্তিকর উপসর্গগুলি থেকে মুক্তি পাওয়ার একটি প্রাকৃতিক এবং সর্বোত্তম উপায়। ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিন এবং আপনার মতামত কমেন্ট বক্সে জানান ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url